প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

আমরা সবাই পড়েছি বা জোর করে শিখানো হয়েছে যে মিরজাফরের বেইমানিতে আমরা বা নবাব সিরাজুদ্দোউলা বৃটিশদের কাছে পরাজিত হয়েছে।

 কিন্তু গান পাউডার কি জিনিস জানেন কি?

এই গান পাউডারের আবিস্কার এর জন্যই সিরাজউদ্দোউলা পরাজিত হয়েছে ১৭৫৭ সালে । তারপর এই গানপাউডারের জন্যই ১৭৭২ সালে টিপু সুলতান পরাজিত হয়েছে। ১৮৫৭ বা আটান্ন সালে হাউইটজার কামান দিয়ে দিল্লীর কেল্লার ফটক ধ্বংস করে দিয়েছে বৃটিশরা এভাবে মুঘলদের শেষ করে আরাকানে পাঠিয়ে দিয়েছে। আবার কুতুব উদ্দিন আইবেক ১১৯৯ সালে সম্ম্রাট পৃথিবীরাজ চৌহান কে পরাজিত করতে পেরেছে সুরা আনফালের ৬০ নাম্বার আয়াতের উপর আমল করেই।অর্থাৎ কুতুবউদ্দিন আইবেকের বাহিনীর ঘোড়া ছিল অত্যান্ত দ্রুতগামী ও ক্ষিপ্র যার সাহায্যে অত্যান্ত দ্রুততার সাথে মুসলিম বাহিনী নিজেদের বিন্যাস ও আক্রমন করতে পারত পক্ষান্তরে পৃথিবীরাজের বাহিনীর চালিকাশক্তি ছিল তার হস্তি বাহিনী যা ছিল ধীর গতির।এখন অটোম্যানদের পরাজিত হওয়ার কারন জানেন কি ? সুরা আনফালের এই ৬০ নাম্বার আয়াতের উপর আমল না করা এটা কিভাবে।

অটোম্যানদের একটা বাহিনী ছিল জেনিসারি বাহিনী অর্থাৎ জান নিছারি বাহিনী। যারা শহিদ হওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল তাদের কাছে যখন গান পাওডার দারা বানানো বন্দুক তুলে দেয়া হল তখন তারা বন্দুক দিয়ে যুদ্ধ করতে অসিকৃতি জানাল। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবীগন ভীষন ভাল তিরন্দাজ ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তারা এসবের মহড়া চালাত। তাহলে সামরিক বিদ্যায় মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের এমন কিছু আছে কি বলার মত। সুরা আনফালের ৬০ নাম্বার আয়াতের উপর আমল করছে শিয়ারা। আবার শিয়ারা তো কয়া কারে কা ডট ডট ডট ডট নাউজুবিল্লাহ। হাফেজের মর্যাদা কত । 

এককথায় অনেক । কিন্তু যে সমস্ত হাফেজ কোরআন বুঝে পড়ে না। আমল ও করে না। তাদের পিতামাতাকে কি আল্লাহ নুরের টুপি পড়িয়ে কেয়ামতের ময়দানে হাজির করবে। আল্লাহ সুরা লোকমানে তুলে ধরেছেন যে একজন আল্লাহর বান্দা তার পুত্রকে কি কি নসিহত করছেন। এখন হাফেজ যদি অর্থই না বুঝেন তাহলে তিনি সেই আয়াতগুলোর উপর কিভাবে আমল করবেন। আর আল্লাহ বলেছেন কোরআন হল হিকমায় পরিপূর্ন আমাদের এই ধরনের হাফেজরা কি ভাবে কোরআন থেকে হিকমা খুজবে। বর্তমান আলেম সমাজ এমন এক ফিতনায় পড়েছে যে তারা নিজেরাও জানেনা। তারা নিজেরা নিজেরা যার যার বুঝ ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও কাফের /মুরতাদ ফতোয়া দিতে যে যে প্রকারের জ্ঞান/রেফারেন্স দরকার তা তারা ঠিকই করায়ত্ত করছে।সুরা রোমে আল্লাহ কত কি নিয়ে চিন্তা করতে বলেছেন। তা কি আমাদের দেশের আলেম/হাফেজদের চিন্তা করা বা আমাদের শোননোর সময় আছে। কেউ কি কোনদিন তাফসির মাহফিলে সুরা রোম তাফসির করেছেন?ভইসরাইলিরা পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন ১০০ প্লাস বিজ্ঞানি। আর মুসলমান রা পেয়েছে কেবল মাত্র একজন। এখন নিশ্চয়ই কেউ বলবেন না যে ওইখানে মানে নোবেল কমিশনে দুই নাম্বারি হয়।

 আমার কথা হল সারা বিশ্বে নাকি ৪ কোটি রেজিস্টার্ড হাফেজ আছে। নন রেজিস্টার্ড আরও কত নাই বা বললাম। এখন আমি বলব যদি ৪ কোটি হাফেজ থাকত আর ১০ লাখ হাফেজ প্লাস রোবটিক্স ইন্জিনিয়ার যারা পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানে, ১০ লাখ হাফেজ প্লাস এরোনটিক্যাল ইন্জিনিয়ার , প্রতি বছর হাটহাজারি/দেওবন্ধ মাদ্রাসা থেকে ২/৫ লাখ করে হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি এরোনটিক্যাল ইন্জিনিয়ার বের হচ্ছে হাটহাজারি মাদ্রাসায় ক্ষুদে প্রোগামারদের কম্পিটিশন হচ্ছে অর্থাৎ সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

আমরা যেমন এইস এস সি পাশের পরে যে যার পছন্দমত সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করি তেমনি মাদ্রাসার ছাত্ররাও আগে হাফেজ হবে। ১০/১২ বছর বা ১৫ বছর বয়সের মধ্যে। তার পর আস্তে আস্তে তড়জমা তাফসির পড়বে প্রতিবছর দুইশ থেকে তিনশ মার্কের আর ম্যাথ ফিজিস্ক, প্রোগ্রামিং ব্যাসিক কেমিস্ট্রি ইত্যাদি পরবে । হাটহাজারি / সরকার থেকে কোটা দিয়ে দিবে এবার এতজন মুফতি লাইনে এতজন শায়খুল হাদিস এত জন তাফসির কারক এতজন এরোনটিক্যাল সাইন্স এতজন রোবটিক্স ইন্জিনিয়ারিং, এতজন অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এতজন চিপ ডিজাইনিং করা শিখবে। তাহলে আমরা সুরা আনফালের ৬০ নাম্বার আয়াতের উপর আমল করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমরা এমন এমন স্টিলথ ড্রোন এআই প্রযুক্তির বানাতে পারব যে আল্লাহর শত্রুরা ভয়ে তটস্ত থাকবে সবসময়।